শফিউল করিম সবুজ, চকরিয়া:
বালু উত্তোলনের কাছাকাছি মাটির ক্ষয় যেমন ঘটছে, তেমনি মাটির গুণাগুণও নষ্ট হচ্ছে। চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন ভৌগোলিক সৌন্দর্যের অন্যতম লীলা ভুমি,রয়েছে পাহাড়,খাল,ঝিরি,ছরাসহ অপরুপ সবুজের গ্রামীণ জনপদ,সেই ভৌগোলিক সৌন্দর্যের জনপদকে হুমকির মুখে ফেলছে কয়েকটি প্রভাবশালী চক্র।
২২ নভেম্বর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড করমুহুরী পাড়ার পাহাড় ঘেঁষা খাল,ঝিরি থেকে বালু খননের মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছে বিভিন্ন প্রভাবশালী চক্র,কোনরকম সরকারী ইজারা ছাড়াই চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। অন্যদিকে খালের পানি প্রবাহের গতিপরিবর্তন হয়ে নদীর পারসহ এলাকার ফসলি জমি,পাহাড় নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উত্তর হারবাং মহাসড়কের পাশে খেয়াল করলে দেখা মিলবে এসব অবৈধ বালুর রিজার্ভ পয়েন্ট। এসব বালু ডাম্পারে করে পৌঁছে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
অনুসন্ধানে জানা যায় ক্ষমতার পালাবদল হওয়ায় দিগুণ বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বালু খেকুরা ৫ই আগষ্ঠের পরে দলীয় যৌথ যোগসাজসে ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট হারবাংয়ে কোটি টাকার বালু লুট করেছে।
জানা যায় স্থানীয় মন্জুর কোম্পানি,মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ,আলমগীরসহ পুরো একটি সিন্ডিকেট করমুহুরী পাড়ার পাহাড় ঘেঁষা খাল,ঝিরির বিভিন্ন বালুর পয়েন্ট দখল করে ইচ্ছেমতো বালু বিক্রি করছে। অন্যদিকে হারবাং এলাকায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী সরকার থেকে ইজারা নেওয়া ২ টি বালুর পয়েন্ট অনুমোদিত থাকলেও একাধিক স্থান থেকে অবৈধ বালু লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এতে জড়িত রয়েছে স্থানীয় মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ নামের এক ব্যক্তি।এসব অবৈধ ইজারাবিহীন বালু লুটকারীর সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন সচেতন মহল।
এ জাতীয় আরো খবর..