মোঃ মনির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাহু নদীর পারে অবস্থিত মেসার্স শানু ব্রিকস নামে একটি ইটভাটা ৫ বছর ধরেই অনুমোদন ছাড়াই আবাদি জমি ও লোকালয়ের পাশে তৈরি করছে ইট।এদের নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ইটভাটার ধোঁয়ায় প্রতিনিয়ত আশপাশের বাড়ির গাছের ফল নষ্ট হচ্ছে। মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে টিনের চাল। এছাড়া আবাদি জমির ফসলও ভালো হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। প্রশাসনের নাকের ডগায় ইটভাটাটি চললেও বন্ধের নেই কোনো উদ্যোগ উপজেলা প্রশাসনের।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ অনুযায়ী কৃষি জমিতে ইটভাটা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটার এবং ১০০ গজের ভিতরে যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্টান থাকে, ইউনিয়ন বা গ্রামীণ সড়ক থেকে অন্তত আধা কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু আইনের তোয়াক্কা না করে প্রশাসনের নাকের টগায় চালিয়ে যাচ্ছে ইট ভাটা।
শনিবার (২৩ নভেম্বর ) সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ইটভাটার আশপাশে কমপক্ষে শতাধিক পরিবারের বসবাস। চারপাশে রয়েছে তিন ফসলি জমি। ভাটার পাশের জমিগুলোতে কৃষকরা কাটছে ধান। এছাড়াও রয়েছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও শহরমুখী হাজারও মানুষের চলাচল।
স্থানীয়রা জানান, ভাটার অনুমোদন আছে কি না তা আমাদের জানা নেই। সকাল সন্ধ্যা ভাটার কালো ধোঁয়ার কারণে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। কাউকে কিছু বলেও লাভ হয় না। এই এলাকার লোক ভাটাটি চালায়। তাই কষ্ট সহ্য করে থাকি।
এছাড়া ব্রিকস ফিল্ডে ইট তৈরীতে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। সরেজমিন ইটভাঁটার পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য কাঠের টুকরো। এসব কাঠ মিল থেকেই কাঠ কিনে এনে ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। মৌসুমের ৬ মাসে ইট পোড়নোর কাজে প্রায় ৫ হাজার টনেরও বেশি কাঠ ব্যবহার করা হয় বলে জানান ইট তৈরীর কাজে শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা জানান, শুধু কয়লা দিয়ে আগুন ভালোভাবে জ্বলে না, তাই ইট পোড়ানোর কাজে কাঠ ব্যবহার করা হয়। কাঠ দিয়ে ইট পোড়ালে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘ইটভাটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ জাতীয় আরো খবর..