নিজস্ব প্রতিবেদক: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের ভুবেনেশ্বর মৌজায় ভেকু দিয়ে মাটি কেটে প্রায় অর্ধশত বিঘা তিন ফসলি কৃষি জমির ফসল নষ্ট করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আবুল বাশার । সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের মোড়াবাড়ি এলাকার ভুবেনেশ্বর মৌজায় রাসেলের কৃষি জমিতে এই মাটি বাণিজ্য চলছে। মাটি খেকো চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না এলাকাবাসী।চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। মাত্র কিছুদিন আগে এই চক্রটি ঢাকা আরিচা বিশ্ব রোডের বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের জোকার চকের উত্তর পাশে ও শিবালয়ে উপজেলার মোনাইলের চকে তিন ফসলি কৃষি জমির মাটি কেটে প্রায় শত কোটি টাকা লুটপাট করছেন বলে জানা যায়। জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার এর তত্ত্বাবধানে রাথুরা গ্রামের তপু,বাটবাউর এলাকার রুবেল এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ০৪/০৪/২০২৪ ইং তারিখে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মুন্নু গেট পার হওয়ার পর সালোয়ার টেক্সটাইল গেটের ভিতর দিয়ে প্রায় অর্ধশত বিঘা তিন ফসলি জমির উপর দিয়ে মাটি বহনের রাস্তা বানিয়ে দশ চাকার অবৈধ ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি পাচার করতে গিয়ে তিন ফসলি কৃষি জমি নষ্ট করেছেন। ভূমি চক্রটির ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক লোক বলেন তারা অনেক প্রভাবশালী, তাদের হাত প্রশাসনের চেয়েও লম্বা, তাইতো প্রশাসন নামমাত্র অভিযান ছাড়া স্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।মাটি বানিজ্যর বিষয় রুবেল এর নিকট জানতে চাইলে বাসারের নেতৃত্বে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে বলেন, আপনারা কি প্রেসক্লাবের সাংবাদিক? বানিয়াজুরী এসে দেখা করেন। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী আবুল বাশার এর বক্তব্যর জন্য যোগাযোগ করা হলে,তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসআর আনসারী বিল্টু বলেন আমি মাটি বাণিজ্যর টোটালই বিপক্ষে এবং স্থায়ীভাবে মাটিকাটা বন্ধ চায়। তিনি আরো বলেন, নামে মাত্র অভিযান দিয়ে আজকে বন্ধ করলে, কালকে চালু হয়ে যায়, এরকম জানি না হয়। স্থায়ীভাবে বন্ধ চায়। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, আমি এমনটাই চাই। বানিয়াজুরী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন মোড়াবাড়ি এলাকার অবৈধ মাটি বাণিজ্য বিষয় এসিল্যান্ড স্যারকে জানালে, স্থায়ী ভাবে বন্ধ হয়নি। ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি)সুকুমার বিশ্বাস বলেন, ভুক্তভোগীদের থানায় পাঠিয়ে দিন, অভিযোগ আমলে নিয়ে এরেস্ট করে কোর্টে চালান করে দিলে, স্থায়ীভাবে বন্ধ হতে পারে। তাছাড়া যতই সতর্ক করি স্থায়ীভাবে বন্ধ হচ্ছে না। ঘিওর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম কে একাধিকবার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেন নি।
এ জাতীয় আরো খবর..