ঝিকরগাছা প্রতিনিধি, যশোর: বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আদলে নির্মাণশৈলী ও নান্দনিকতায় অনন্য যশোর সদর উপজেলার জঙ্গলবাধাঁল স্কুলের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মসজিদটির সৌন্দর্য-শোভা এখন দূরদূরান্তের মুসল্লিদেরও টানছে। প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে মসজিদটি দেখতে মুসল্লিরা আসছেন, নামাজ আদায় করছেন।
১৯৯০ সালে স্থানীয় জনগন জঙ্গলবাঁধাল স্কুলের পাশে ছোট পরিসরে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, পরবর্তীতে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও প্রবাসীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মসজিদটি নতুন করে নির্মাণের উদ্যেগ নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে মসজিদটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। নির্মাণ কাজ শেষ হতে কয়েক বছর লেগে যায়, অবশেষে ২০২০ সালে নান্দনিক এ মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। জঙ্গলবাধাল স্কুলের ৫৬ শতক জায়গায় এই মসজিদটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে পোনে দুই কোটি টাকা। গ্রামের এ মসজিদটি শুধু নামাজ আদায়ের স্থান নয় বরং বর্তমানে দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।
জঙ্গলবাধাঁল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও জঙ্গলবাধাঁল স্কুল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের তত্ত্বাবধায়ক শহিদুল মিন্টু বাংলাদেশ প্রকাশকে বলেন, তার বাবা খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালে ইউপি চেয়ারম্যান ও এলাকার একমাত্র ডাক্তার ছিলেন। ছোট পরিসরে মসজিদটি প্রথম তার বাবার আমলেই নির্মাণ হয়। এলাকাবাসী সম্মিলিতভাবে মসজিদটি সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। বিশেষ করে তার মৃত ভাই জহুরুল ইসলাম ও আমেরিকান প্রবাসী আশরাফুল হক নিপুর অর্থায়নে মসজিদের প্রথম দিকের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এরপর একে একে সহযোগিতার হাত বাড়ান গ্রামের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। সে সময় জাতীয় মসজিদের আদলে তৈরির পরিকল্পনা করা হয়। সে অনুযায়ী মসজিদটি নির্মাণ করতে প্রায় এক বছর সময় লাগে। আর এতে খরচ হয়েছে পোনে দুই কোটি টাকা।
তিনি আরও বলেন, দুইজন হাফেজ, দুইজন মুয়াজ্জিন, বয়স্কদের কোরআন শিক্ষা, আর ৫২ ছাত্র-ছাত্রীর হেফজখানা রয়েছে। পুরো রমজান মাসে মুসল্লিদের জন্য রয়েছে ইফতারের ব্যবস্থা। এটা গ্রামবাসীর উদ্যোগেই করা হয়।
মসজিদের মুয়াজ্জিন শহর আলী বাংলাদেশ প্রকাশকে বলেন, গত ১০ বছর ধরে এ মসজিদে আমি মুয়াজ্জিন হিসেবে আছি। নতুন মসজিদ হওয়ার পর এর দায়িত্বেও আমি আছি। আমার কাছে আল্লাহর এই ঘরটি বেশ ভালো লাগে। খুব মনোরম এবং নান্দনিকভাবে মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে।
এ জাতীয় আরো খবর..