শাহাদাৎ হোসেন সরকার, আশুলিয়া: জাতীয় নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালে মহাসড়কে দুর্ঘটনা এড়াতে আন্দোলনের পর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ১৭ টি নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর কিছুদিন পর হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেয়া হয় লেগুনা সহ ফিটনেস বিহীন অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ।
অথচ হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশের সহযোগিতায় এসকল ফিটনেস বিহীন যানবাহন গুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কে। এমনটাই চোখে পড়লো , আশুলিয়া টু সাভার, আমিন বাজার টু হেমায়েতপুর আব্দুল্লাহপুর টু নবীনগর, ও নবীনগর টু কালামপুর মহাসড়কে।
সরজমিনে গেলে দেখা যায় উক্ত গাড়ি গুলো ড্রাইভিং করছেন বেশির ভাগ অপ্রাপ্তবয়স্ক লাইসেন্স বিহীন ড্রাইভার। গাড়ির একপাশে দরজা থাকলেও নেই অন্য পাশের দরজা, সামনের সাইড ফাঁকাসহ লক্কর ঝক্কড় গাড়িতে টানা হচ্ছে যাত্রী।
শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় লক্ষ লক্ষ শ্রমজীবী মানুষের বসবাস, গাড়ি না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সকল গাড়ি ব্যবহার করছেন যাত্রীরা একারণে প্রায় প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা, কিন্তু প্রশাসন রয়েছেন নিরব ভূমিকায় ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় উক্ত গাড়িগুলো চালানোর জন্য রয়েছে একাধিক দালাল, এরা কেউবা ক্ষমতাসীন দলের নেতা পরিচয়ে যেকোনো একটি সংগঠনের নাম বিক্রি করে ক্ষমতা দেখিয়ে নিচ্ছেন জিপি। আবার কেউবা উঠাচ্ছেন পুলিশের নামে মাসিক চাঁদা,প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে চাঁদা উত্তোলন করছেন দালালরা।
নবীনগর টু আব্দুল্লাহপুর রোডে চলছে প্রায় ১,৫০ টি লেগুনা ও তাকওয়া পরিবহন নাম ফিটনেস গাড়ি, আশুলিয়া টু সাভার রোর্ডে চলছে প্রায় দু থেকে আড়াইশো লেগুনা। হেমায়েতপুর এক থেকে দেড়শো, নবীনগর থেকে কালামপুর মহাসড়কে চলাচল করে প্রায় শতাধিক লেগুনা।
উক্ত সকল গাড়ি থেকে প্রতিমাসে ট্রাফিক পুলিশের নামে নেওয়া হচ্ছে ১৫/ ১৮ শত টাকা ও জিপির টাকাসহ প্রায় তিন হাজার টাকা।
যাহা বন্টন হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনসহ রাজনৈতক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে।
এখানেই শেষ নয় আশুলিয়া থানা ও ধামরাই থানার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতি গাড়ি থেকে কেউবা প্রতি মাসে নিচ্ছেন আরও পাঁচশত করে টাকা। অথচ উক্ত টাকার বিষয়ে জানেন না,সাভার থানা, আশুলিয়া থানা বা ধামরাই থানা কর্তৃপক্ষ ।
শুধু থানার টাকাই নয়,মহাসড়কে চলাচলরত প্রত্যেকটি অবৈধ ফিটনেস বিহীন লেগুনা গাড়ি থেকে প্রত্যেকটি পয়েন্ট থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা জিপি নামক চাঁদা ।
অনুসন্ধানে জানা যায় রক্ষকরাই মূলত ভক্ষক হয়ে দাঁড়িয়েছে মহাসড়কে, প্রতিমাসে হাইওয়ে থানা, ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশকে বিভিন্ন অংকের মাসিক চাঁদা দিয়েই চলছে এসকল গাড়ি।
প্রত্যেকটি পয়েন্ট বাইপাইল পুলিশ বক্স, নবীনগর পুলিশ বক্স, আমিনবাজার হেমায়েতপুর পুলিশ বক্স সাভার পুলিশ বক্স আশুলিয়া পুলিশ বক্স, ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের সামনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে উক্ত গাড়িগুলো স্ট্যান্ড করে সিরিয়াল দিয়ে যাত্রী উঠানামা করছেন। অথচ আইনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশ সহ হাইওয়ে থানা পুলিশ ।
ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিষয়ে জানতে সাভার হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস আই বাবুলকে জানতে ফোন করলে তিনি জানান এ সকল অবৈধ লেগুনা গাড়ির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা দেয়া হচ্ছে মামলা।
কিন্তু সরজমিনে গেলে দেখা যায় সিরিয়াল মেনটেন করে চলছে এসকল গাড়ি তবে আইনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না স্থানীয় প্রশাসন।
এবিষয়ে ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের টি আই এডমিন শহিদ ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কাগজ বা ফিটনেস বিহীন গাড়ি পেলেই দেওয়া হচ্ছে মামলা।
কিন্তু পুলিশ বক্স এর পাশে স্টান্ড করে সিরিয়াল মেন্টেনে যাত্রী উঠানামা সহ গাড়ি চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অফিসে আইসেন কথা বলবো।
অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত থাকছে দ্বিতীয় পর্বে ,,,,,
এ জাতীয় আরো খবর..