পটুয়াখালী
প্রতিনিধিঃ
অসাম্প্রদায়িক
বাংলাদেশ গঠনের অগ্রসৈনিক, মহান
মুক্তিযুদ্ধের ৪ নং সেক্টর
কমান্ডার, বি.ডি.আর
এর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর উত্তম মেজর জেনারেল (অবঃ) সি.আর দত্ত
এঁর মহাপ্রায়নে শোক সভা ও বিশেষ প্রার্থনা
অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০ টায় সেন্ট্রারপাড়াস্থ হিন্দু সমাজ গৃহে পটুয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এর সভাপতি এ্যাডভোকেট কমল দত্ত এর সভাপতিত্বে ও জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক উত্তম দাস সঞ্চালনায় বীর উত্তম মেজর জেনারেল (অবঃ) সি.আর দত্ত এঁর মহাপ্রায়নে শোক সভা ও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অতুল চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের জাতীয় কমিটির সদস্য শুভাশীষ মুখার্জী, জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলির সদস্য তপন কর্মকার, এ্যাডভোকেট লালনারায়ন পাল, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, নন্দকানাই পূজা মন্ডপের সাধারন সম্পাদক বাসু দেব শীল প্রমুখ। শেষে বীর উত্তম মেজর জেনারেল (অবঃ) সি.আর দত্ত এঁর আত্মার শান্তি ও সদগতি কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপনে বিশেষ প্রার্থনা পরিচালনা করেন পুরোহিত শ্রী দিলিপ চক্রবর্তী।
পটুয়াখালী র্যাব কর্তৃকগাঁজা ব্যবসায়ী অপূর্ব চন্দ্র আটক***
র্যাব -৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ভারপাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃতে র্যাবের একটি দল বৃহষ্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় জেলার গলাচিপা থানাধীন লাবনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী অপূর্ব চন্দ্র বৈদ্য (২৮) কে ৯০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করে। আটক অপূর্ব চন্দ্র এলাকায় দীর্ঘ দিন যাবত গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় করিয়া আসছেবলেসে স্বীকার করে। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত আসামীকে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব বাদী হয়ে পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আটক অপূর্ব চন্দ্র গলাচিপা উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডের লাবনা নিবাসী বকুলবাড়িয়া রতেœশ্বর বৈদ্য এর ছেলে বলে র্যাব জানায়।
পটুয়াখালীতে ভূমিদস্যু করিম গাজীর কবল থেকে পৈত্রিক সম্পত্তি রক্ষার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন***
পটুয়াখালীতে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসী করিম গাজী কর্তৃক জোরপূর্বক পৈত্রিক সম্পত্তি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
গতকাল শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় পটুয়াখালী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে পটুয়াখালী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বহালগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা মোঃ নাসির উদ্দিন হাওলাদারের লিখিত বক্তব্য সূত্রে জানাগেছে, তার (নাসির উদ্দিন হাওলাদারের)দাদা হাজী আয়নালী হাওলাদার বিগত ২৮.১০.১৯৬৫ইং তারিখ একই এলাকার মো. মোসলেম গাজীর কাছ থেকে সাড়ে ৬৩ শতাংশ জমি ক্রয় করে নাসির হাওলাদারের বাবা মো. নূর উদ্দিন হাওলাদারের নামে রেজিস্ট্রি (দলিল) করেন এবং ক্রয় সূত্রে ওই জমির মালিক হন নূর উদ্দিন হাওলাদার।
পরবর্তীতে নূর উদ্দিন হাওলাদারমৃত্যু বরণ করলে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত নাসির হাওলাদার ঐ সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে এ সময় মোসলেম গাজীর শ্যালক ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী করিম গাজী তার সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে নির্মান কাজে বাধা দেয়এবং স্থাপনা নির্মান সামগ্রী খুঁটি, টিনসহ মালামাল জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এ ঘটনা পটুয়াখালী সদর থানায় জানালে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাটি শালিসের মাধ্যমে ফয়সালা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগনকে দায়িত্ব দেন।
শালিসগণ উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখতে চান, তখন মোসলেম গাজীর শ্যালক করিম গাজী শালিসগণকে জানান ওই জমি ১৯৮৮ সালে তার নামে দলিল হয়েছে। অথচ মোসলেম গাজী ওই জমি ১৯৬৫ সালের ২৮ অক্টোবর নাসিরের বাবা মো. নূর উদ্দিন হাওলাদারের নাম রেজিস্ট্রি দলিল করে দেন। শালিসগণ উভয়ের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে নাসিরের পক্ষে রায় দেন। কিন্তুভূমিদস্যু করিম গাজী ওই জমি নাসিরকে ভোগদখল করতে দিচ্ছে তো না-ই, উল্টো নাসির ও নাসিরের ভাইসহ পরিবারের নামে লুটপাটের মিথ্যা মামলা দিতে থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সংশ্লিস্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরসহ শালিসগণের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা (শালিসগণ) লুটপাটের ঘটনা মিথ্যা এবং করিম গাজীর সাজানো নাটক বলে জানালে ওসি মামলা গ্রহণ না করলে তারা আদালতে গিয়ে মামলা করে এবং বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায়েহয়রানি করছে বলে সংবাদ সম্মেলনে নাসির হাওলাদার জানান।সংবাদ সম্মেলনে ভূমি দস্যু করিম গাজীর অনৈতিক জুলুম-নির্যাতন এবং মিথ্যা ও সাজানো মামলা থেকে রক্ষাসহ সন্ত্রাসী করিম গাজীর কবল থেকে পৈত্রিকা সম্পত্তি রক্ষা করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নাসির হাওলাদারসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় নাসির উদ্দিনের সাথে ছিলেন ভূমি দস্যুর করিম গাজীর আপন ভাগ্নে আশ্রাফ গাজী, চাচাতো ভাই ফারুক গাজী, নাসির হাওলাদারের শ্যালক সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ প্রমুখ।